এত কেন্দ্র কি, পুরন মার্কেটিও কব
অবিনয় নিবেদন এই যে, আমরা টঙ্গী পাইলট স্কুল এন্ড গার্লস কলেজের শিক্ষক-কর্মচারিবৃন্দ। আমাদের প্রিয় শিক্ষা প্রতিহাসটি মীর্ঘদিন ধরে সুনাম, ঐতিয্য ও মানসম্পন্ন শিক্ষার প্রতীক হিসেবে পরিচিত। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে প্রতিষ্ঠানের আর্থিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে একাধিক গুরুতর অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের ঘটনা সংঘটিত হয়েছে, যা প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ও আর্থিক স্থিতিশীলতার জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
১। এইচএসসি কোচিং মানি ও বোর্ড ফি সংক্রান্ত অনিয়ম।
২০২৫ সালের এইচএসসি কোচিং ফি এবং এসএসসি ও এইচএসসি-২০১৫ পরীক্ষার কেন্দ্র ফি বাবদ মোট ১৩,০০,০০০/- ( লক্ষ) টাকা অধ্যক্ষ মোঃ আলাউদ্দিন মিয়ার নিকটে রয়েছে। কিন্তু ৫ই আগস্ট ২০২৪ তারিখের পর থেকে ১০ টাকা শিক্ষক-কর্মচারিদের মাঝে বণ্টন করা হয়নি। একাধিকবার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জনাব মোঃ হারুন অর রশীদ স্যারকে অর্ণহিত করেও কোনো ব্যবস্থা গৃহীত হয়নি।
২। সুপার মার্কেটের অর্থ আত্মসাত সংক্রান্ত অনিয়ম:
অএ প্রতিষ্ঠানের অধীনে মোট ৩টি মার্কেটে ১৬১টি দোকান রয়েছে। দোকান পজিশন বিক্রয় ও ভাড়ার অর্থ আদায়ে অনিয়মের অভিযোগে গভর্নিং বডির ১৭/০৬/২০২৫ তারিখের ৪৯ নং সভার ০২ নং আলোচ্যসূচি অনুসারে একটি পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট মার্কেট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটি সরেজমিন তদন্ত, দলিল, ব্যাংক রশিদ ও দোকান মালিকদের জবানবন্দি পর্যালোচনা করে ২৩ (তেইশ) পৃষ্ঠার প্রতিবেদন তৈরি করে ১৭/০৭/২০২৫ তারিখে আপনার নিকট দাখিল করে। প্রতিবেদনে ১৪,৮২,৫০,০০০/- (চৌদ্দ কোটি বিরাশি লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকার আর্থিক অসঙ্গতি চিহ্নিত করা হয়, যা প্রতিষ্ঠানের জন্য গুরুতর ক্ষতির কারণ হয়েছে।
৩। অধ্যক্ষ কর্তৃক মূল ভবন পজিশন হস্তান্তর সংক্রান্ত অনিয়ম:
অধ্যক্ষ মোঃ আলাউদ্দিন মিয়া স্কুল ভবনের মূল অংশ, যা উত্তর পাশের প্রধান ফটকের পশ্চিম পাশ ঘেঁষে অবস্থিত, সেই অংশের একটি কক্ষ তার আপন বোনের নামে পজিশন হস্তান্তর করেন। অথচ উক্ত পজিশন হস্তান্তর বাবদ কোনো অর্থই প্রতিষ্ঠানের অথনিলে জমা প্রদান করা হয়নি।
৪। অননুমোদিত ও ঝুঁকিপূর্ণ মার্কেট নির্মাণ:
স্কুল মার্কেটের উত্তর পাশের পুরনো এক তলা ভবনের ওপর সম্পূর্ণ প্ল্যান বহির্ভূতভাবে এবং কোনো ভিত ছাড়াই ঝুঁকিপূর্ণ দ্বিতল মার্কেট নির্মাণ করা হয়েছে। পরবর্তীতে উক্ত মার্কেটের দোকানসমূহের পজিশনও হস্তান্তর করা হয়, যার অর্থ প্রতিষ্ঠানের হিসাবে জমা হয়নি। বিষয়টি প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা, কাঠামোগত স্থায়িত্ব এবং আর্থিক স্বচ্ছতা-সবক্ষেত্রেই মারাত্মক উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে।
৫। আইনানুগ পদক্ষেপ ও তদন্ত অবস্থা:
(নং-ধারা-উপরোক্ত দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় ইতোমধ্যে গাজীপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি ফৌজদারি মামলা ) দায়ের করা হয়েছে এবং আদালতের
নির্দেশে সিআইডি পুলিশ বর্তমানে মামলাটি তদন্ত করছে। আমরা বিশ্বাস করি, তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করে প্রতিষ্ঠানের আত্মত্মসাৎকৃত অর্থ উদ্ধার ও ন্যায্য বিচার নিশ্চিত হবে।
এমতাবস্থায় আমরা টঙ্গী পাইলট স্কুল এন্ড গার্লস কলেজকে রাহুরগ্রাসথেকে মুক্ত করার জন্য সমাজের সকল সচেতন নাগরীক ও সাংবাদিক ভাইদের কাছে একান্ত সহযোগিতা কামনা করছি।