জামালপুরের বকশীগঞ্জের বান্দেপাড়া এলাকার পাটখেত থেকে গত ১৬ মে এক নারীর পোড়া লাশ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। মুখমণ্ডল পুড়ে যাওয়ায় ওই নারীর নাম-ঠিকানা নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছিল না। ওই ঘটনায় জড়িতদেরও শনাক্ত করতে পারছিল না পুলিশ। শেষ পর্যন্ত ওই নারীর মাথায় আগের কাটা চিহ্নের সূত্র ধরে তাঁর নাম-ঠিকানা নিশ্চিত হয়ে হত্যায় জড়িত অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ওই নারীর নাম নবিরন খাতুন (৫২)। বাড়ি জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জের চেংটিমারী পূর্ব এলাকায়। পেশায় পোশাকশ্রমিক এই নারী থাকতেন রাজধানীর খিলগাঁও এলাকায়।
এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্তের সঙ্গে যুক্ত জামালপুরের পুলিশের কর্মকর্তারা বলছেন, ঢাকার দুই সন্ত্রাসীকে ৩০ হাজার টাকায় ভাড়া করে নবিরনকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেন তাঁর জামাতা আবু তালেব মণ্ডল (৪৭)। লাশ যাতে চেনা না যায়, সে জন্য পুড়িয়ে দেওয়া হয়। বকশীগঞ্জ ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় লাশটি পাওয়া যায়। পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অবস্থান নিশ্চিত হয়ে ৪ জুন রাতে ঢাকার সাভারের একটি এলাকা থেকে আবু তালেবকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি জামালপুরের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে পুলিশ জানায়।