‘১/১১ আর বলেকয়ে করা লাগবে না, অটোমেটিক্যালি (স্বয়ংক্রিয়ভাবে) হয়ে যাবে’—এমন মন্তব্য করে গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান বলেছেন, কোনোভাবেই রমজানের পর নির্বাচন হতে পারে না। অবশ্যই রমজানের আগেই নির্বাচন হতে হবে। রমজানের আগে প্রার্থীরা কোনোভাবেই প্রচারণা করতে পারবেন না।
আজ বুধবার সকালে ঝিনাইদহ শহরের একটি রেস্তোরাঁয় তিনি এ মন্তব্য করেন। নির্বাচনী ভাবনা নিয়ে সেখানে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে দলটি।
সরকারের উদ্দেশে গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আপনারা আমাদের তিন মাস সময় দেবেন। এক মাস তো এই রমজানে চলে যাবে। ঈদের জন্য যাবে আরও ১৫ দিন। এর মধ্যে পরীক্ষা থাকে। সব মিলিয়ে কি প্রার্থীরা প্রচারণা করবে না? আমার মনে হয়, যেহেতু নির্বাচন সংস্কার কমিশন ৪০ শতাংশ ভোটারের উপস্থিতির কথা বলেছে এবং এর চেয়ে কম ভোট পড়লে পুনরায় ভোট হবে। কিন্তু গরমের মধ্যে অধিকাংশ আসনেই ৪০ শতাংশ ভোট পড়বে না। এ ক্ষেত্রে তো অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আবার থেকে যাবে। এভাবে ১/১১ আর বলেকয়ে করা লাগবে না, অটোমেটিক্যালি (স্বয়ংক্রিয়ভাবে) হয়ে যাবে। সেই ধরনের ষড়যন্ত্র এবং চক্রান্ত রয়েছে বলে আমরা মনে করি।’
রাশেদ খান আরও বলেন, ‘সরকারকে বলব, জনগণ এ ধরনের সন্দেহ করছে। কয়েকজন উপদেষ্টা হয়তো চক্রান্তের মধ্যে রয়েছেন, যাঁরা প্রধান উপদেষ্টাকে ভুল বুঝিয়ে নির্বাচন নিয়ে এ ধরনের জগাখিচুড়ি মার্কা সিদ্ধান্ত জাতির সামনে হাজির করেছেন।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ জেলা গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল জাহিদ, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ ঝিনাইদহ সভাপতি আবদুল আল মামুন, সাধারণ সম্পাদক রিহান হোসেন, যুব অধিকার পরিষদ নেতা রকিবুল হাসান, পৌর গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি মাহফুজুর রহমান, সদর উপজেলা গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি হালিম পারভেজ প্রমুখ।
গণ অধিকার পরিষদ নেতা রাশেদ খান আরও বলেন, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনকে অবৈধ ঘোষণা করতে হবে। এসব নির্বাচনে ডামি এমপিদের অবৈধ ঘোষণা করতে হবে। উপদেষ্টারা অনেক কষ্ট করেছেন, কিন্তু যাঁদের প্রাণের বিনিময়ে চেয়ারে বসেছেন, সেসব শহীদের তালিকা করতে পারেননি। অভ্যুত্থানে নিহত পরিবারকে সহযোগিতা করতে পারেননি। আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারেননি।
42ert1