কক্সবাজারে পর্যটকের ঢ্ল, হোটেল-মোটেলে রুম সংকট

Date: 2025-02-22
news-banner
মো:আজিম :
পর্যটন মৌসুম শেষ হওয়ার পথে। সপ্তাহখানেক পরই শুরু হচ্ছে মাহে রমজান। তাই মৌসুমের শেষ পর্যায়ে এসে পর্যটকের ঢল নেমেছে সৈকতের শহর কক্সবাজারে। যেদিকে চোখ যায় শুধু মানুষ আর মানুষ। এরই মধ্যে সাড়ে পাঁচ শতাধিক হোটেল-মোটেলের প্রায় সব কক্ষই বরাদ্দ হয়ে গেছে।কক্সবাজারের কবিতা চত্বর থেকে কলাতলী পয়েন্ট পর্যন্ত তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে লোকে লোকারণ্য। কবিতা চত্বর, শৈবাল পয়েন্ট, লাবণী পয়েন্ট, সি গাল পয়েন্ট, সুন্ধগা পয়েন্ট ও কলাতলী পয়েন্টে দুদিন ধরে সকাল ৯টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত মানুষের ভারে যেন তিল ধারণের ঠাঁই মিলছে না। সাপ্তাহিক ছুটির দিনের সঙ্গে একুশে ফেব্রুয়ারি, সাগরতীরে মানুষ আর মানুষ। তীব্র গরমের মাঝে নোনাজলে মাতোয়ারা প্রকৃতিপ্রেমিরা। জেড স্কী কিংবা ঘোড়ার পিঠে ওঠে ছবি তুলে তা স্মৃতি হিসেবে রেখে দিচ্ছেন। সাগরতীর যেন পরিণত হয়েছে উৎসবের নগরীতে। সুগন্ধা পয়েন্টে রাজশাহী থেকে বেড়াতে আসা পর্যটক আব্দুল কুদ্দুস বলেন, ‘ দীর্ঘ সময় বাসে চড়ে কক্সবাজার আসা। এত ক্লান্তির মধ্যেও হোটেল বিশ্রাম না নিয়ে ছুটে এসেছি সমুদ্র দেখার জন্য। সমুদ্রের নোনাজল গায়ে লাগার সঙ্গে সঙ্গে সব ক্লান্তি দূর হয়ে গেছে।’ একই পয়েন্টে ঢাকা থেকে বন্ধুদের সাথে ঢাকা থেকে আসা আয়শা রুনা  বলেন, ‘খুব বেশি আনন্দ করছি। আগামী দুইদিন কক্সবাজারে থাকব। এখানে সাগর, পাহাড় ও প্রকৃতির সঙ্গে আনন্দ করে কাটাব।’সিলেট থেকে আসা ইব্রাহিম আজাদ বলেন, ‘তিন বছরের সন্তান রুহীকে নিয়ে প্রথম সমুদ্র দেখা। খুবই ভালো লাগছে। কক্সবাজার এলেই সব ভালো লাগে। এটা একটা ভালো লাগার স্থান।’কক্সবাজার হোটেল- ফ্ল্যাট মালিক ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সহ-সভাপতি বেলায়েত হোসেন বাবলু জানান,  ছুটি উপলক্ষে ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত অতিথি কক্সবাজার এসেছেন।শনিবারের পর চাপ কমে যাবে।হোটেলে রুম ভাড়া না পেয়ে ব্যাগ ও লাগেজ নিয়ে অনেক পর্যটক বালিয়াড়িতেই অবস্থান করছেন, অনেকে সাগরতীরে। কেউ কেউ সড়কে পায়চারী করে সময় পার করছেন। তবে হোটেল, মোটেল ও যানবাহনের অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ তুলেছেন কেউ কেউ।

Leave Your Comments

Trending News