সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ০৩:২৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
শিরোনাম :
দুর্নীতিবিরোধী জাতীয় সমন্বয় কমিটির ১১ দফা সুপারিশ বাস্তবায়নে ও সাধারণ সম্পাদক সারোয়ার ওয়াদুদ চৌধুরীর প্রাণনাশের চেষ্টার বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান বিধ্বস্তের ঘটনাকে ‘ভয়াবহ’ বললেন স্টারমার ফরিদগঞ্জ লেখক ফোরামের ৪৫২ তম সাহিত্য আড্ডা অনুষ্ঠিত শার্শায় পূর্ব শত্রুতার জেরে কুপিয়ে হত্যা: নিহত লিটন হোসেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্সপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের নবীন বরন সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত। পোরশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক থাকার কথা কমপক্ষে ১০ জন, পরিতাপের বিষয় আছে মাত্র ০৩ জন। মানবিক বেওয়ারিশ ফাউন্ডেশনের বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট সিমকী ইমাম খানের উক্তি করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট: আগের থেকে কতটা ভিন্ন পাকা আমের ভাপা দইয়ের রেসিপি
Notice :
"Jonotarmotamot"  (জনতার মতামত) বা গণমানুষের সম্মিলিত ধারণা, দৃষ্টিভঙ্গি এবং বিশ্বাস। কোন নির্দিষ্ট বিষয়, ঘটনা বা নীতি সম্পর্কে সমাজের একটি বৃহৎ অংশের মানুষের সমষ্টিগত চিন্তা বা অনুভূতি।

করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট: আগের থেকে কতটা ভিন্ন

প্রতিনিধির নাম: / ১২ ভিউ:
আপডেট সময়: বৃহস্পতিবার, ১২ জুন, ২০২৫, ৮:৫৫ অপরাহ্ন

ডা. রিফাত আল মাজিদ

করোনাভাইরাসের আগের ভ্যারিয়েন্ট যেমন ডেলটা ও ওমিক্রন আমাদের অনেক ভয় দেখিয়েছে। সেগুলোর উপসর্গ ছিল তীব্র-উচ্চ জ্বর, শ্বাসকষ্ট, হাসপাতালে ভর্তি হওয়া পর্যন্ত অবস্থা। কিন্তু বর্তমানে পাওয়া নতুন ভ্যারিয়েন্টগুলো (যেমন JN.1 বা FLiRT) আগের চেয়ে কিছুটা আলাদা আচরণ করছে।

প্রথম পার্থক্য হচ্ছে সংক্রমণের গতি। নতুন ভ্যারিয়েন্টগুলো অনেক দ্রুত ছড়ায়। একজন আক্রান্ত ব্যক্তি সহজেই অনেকজনকে সংক্রমিত করতে পারেন, এমনকি উপসর্গ হালকা থাকলেও। দ্বিতীয় বিষয়টি হলো লক্ষণ। নতুন ভ্যারিয়েন্টে সাধারণত হালকা উপসর্গ দেখা যায়-সর্দি, কাশি, হালকা জ্বর বা গলা ব্যথা। অনেক সময় মনে হয় এটি বুঝি সাধারণ ঠান্ডা, ফলে মানুষ অবহেলা করে বাইরে চলাফেরা করে, যা ভাইরাস ছড়ানোর ঝুঁকি বাড়ায়।

তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য হলো ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা। আগের ভ্যারিয়েন্টগুলোতে ভ্যাকসিন খুব ভালোভাবে সুরক্ষা দিত, তবে নতুন ভ্যারিয়েন্টে ভাইরাসের গঠন কিছুটা বদলে যাওয়ায় পুরোনো টিকার কার্যকারিতা কিছুটা কমে যেতে পারে। যদিও ভ্যাকসিন এখনো মারাত্মক জটিলতা রোধে সহায়ক, তবু বুস্টার ডোজ নেওয়া বা টিকা হালনাগাদ করা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

চতুর্থ পার্থক্যটি সচেতনতার ধরণে। আগের ভ্যারিয়েন্টের সময় মানুষ উপসর্গ বুঝলেই সতর্ক হতো, পরীক্ষা করাতো বা আলাদা থাকতো। কিন্তু এখন হালকা উপসর্গ দেখে অনেকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন না, ফলে ভাইরাস চুপিসারে ছড়িয়ে পড়ে। তাই নতুন ভ্যারিয়েন্ট মোকাবেলায় সচেতনতা আরও সূক্ষ্ম ও দায়িত্বশীল হতে হবে।

আগের ভয়াবহতা কমলেও নতুন ভ্যারিয়েন্টের দ্রুত সংক্রমণ ও হালকা উপসর্গের কারণে ঝুঁকি এখনো আছে। এই পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মানা, উপসর্গ দেখা দিলে পরীক্ষা করা এবং টিকা নেওয়ার মতো অভ্যাসগুলো আমাদের সুরক্ষার প্রধান হাতিয়ার।


আপনার মতামত লিখুন :

One response to “করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট: আগের থেকে কতটা ভিন্ন”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর