সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ০৩:২৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
শিরোনাম :
দুর্নীতিবিরোধী জাতীয় সমন্বয় কমিটির ১১ দফা সুপারিশ বাস্তবায়নে ও সাধারণ সম্পাদক সারোয়ার ওয়াদুদ চৌধুরীর প্রাণনাশের চেষ্টার বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান বিধ্বস্তের ঘটনাকে ‘ভয়াবহ’ বললেন স্টারমার ফরিদগঞ্জ লেখক ফোরামের ৪৫২ তম সাহিত্য আড্ডা অনুষ্ঠিত শার্শায় পূর্ব শত্রুতার জেরে কুপিয়ে হত্যা: নিহত লিটন হোসেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্সপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের নবীন বরন সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত। পোরশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক থাকার কথা কমপক্ষে ১০ জন, পরিতাপের বিষয় আছে মাত্র ০৩ জন। মানবিক বেওয়ারিশ ফাউন্ডেশনের বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট সিমকী ইমাম খানের উক্তি করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট: আগের থেকে কতটা ভিন্ন পাকা আমের ভাপা দইয়ের রেসিপি
Notice :
"Jonotarmotamot"  (জনতার মতামত) বা গণমানুষের সম্মিলিত ধারণা, দৃষ্টিভঙ্গি এবং বিশ্বাস। কোন নির্দিষ্ট বিষয়, ঘটনা বা নীতি সম্পর্কে সমাজের একটি বৃহৎ অংশের মানুষের সমষ্টিগত চিন্তা বা অনুভূতি।

কারও নিন্দা করার আগে একটু জেনে নিন: আসিফ নজরুল

প্রতিনিধির নাম: / ৮ ভিউ:
আপডেট সময়: বৃহস্পতিবার, ১২ জুন, ২০২৫, ৬:২১ অপরাহ্ন

অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল কারও নিন্দা করার আগে একটু জেনে নিতে অনুরোধ জানিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে উদাহরণ টেনে তিনি বলেছেন, কয়েকদিন আগে মুক্তিযোদ্ধাদের সংজ্ঞায়ন-বিষয়ক ভুল সংবাদের জেরে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। এই ঝড়ের অন্যতম শিকার হয় আমার পরিবারের সদস্যরা।

বুধবার (১১ জুন) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ‘নিন্দা’ শিরোনামে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. আসিফ নজরুলের সেই পোস্টটি নিচে হুবহু তুলে ধরা হলো-

নিন্দাকয়েক দিন আগে মুক্তিযোদ্ধাদের সংজ্ঞায়ন-বিষয়ক ভুল সংবাদের জেরে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। এই ঝড়ের অন্যতম শিকার হয় আমার পরিবারের সদস্যরা। দু-একজন তাদের ধিক্কার দিতে থাকে, কীভাবে এই আইন করলাম আমি! তারা বলে: এটা তো মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় করেছে! কিন্তু সমালোচকেরা নাছোড়বান্দা! না, আইনটিতে তো লেখা আছে আইন মন্ত্রণালয়ের নাম।

আমি জানি, এ রকম বহু শিক্ষিত মানুষ আছে সমাজে। তাদের কাছে সবিনয়ে বলি, অন্য যেকোনো মন্ত্রণালয় যে অধ্যাদেশই করুক না কেন, তা জারি করতে হয় আইন মন্ত্রণালয়কে। আমাদের রুলস অব বিজনেস অনুসারে এটাই বিধান। পৃথিবীর প্রায় সকল দেশে এটাই হয়। বাংলাদেশে এনবিআর নিয়ে যে আইনটা (অধ্যাদেশ) হয়েছে, তা করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদিত হওয়ার পর এটা জারি করতে হয়েছে আইন মন্ত্রণালয়কে। সরকারি কর্মচারীদের শৃঙ্খলা নিয়ে যে আইন, তা–ও করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। কিন্তু এটা জারি করতে হয়েছে আইন মন্ত্রণালয়কে।

অধ্যাদেশ আকারে যত আইন অতীতে হয়েছে, সেগুলো আইন মন্ত্রণালয় জারি করেছে। ভবিষ্যতে যেসব অধ্যাদেশ হবে, সেগুলোও আইন মন্ত্রণালয়কে জারি করতে হবে। এ জন্য গেজেটের প্রথম পাতায় আইন মন্ত্রণালয়ের নামই থাকবে। কিন্তু তার মানে এটি নয় যে আইন মন্ত্রণালয় আইনগুলো করেছে বা এটি আইনগুলোর প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়।

আইন মন্ত্রণালয় নিজস্ব উদ্যোগে আইন করেছে কেবল এ মন্ত্রণালয়ের কার্যপরিধিভুক্ত বিষয়ে। যেমন দেওয়ানি কার্যবিধির সংশোধনী আইন বা উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগসংক্রান্ত আইনটি করেছে আইন মন্ত্রণালয়। কিন্তু অন্য কোনো মন্ত্রণালয়ের কার্যপরিধিভুক্ত বিষয়ে আইন প্রণয়নের কোনো ক্ষমতা আইন মন্ত্রণালয়ের নেই। আছে শুধু জারি করার দায়িত্ব। এটি স্রেফ আনুষ্ঠানিকতা।

২.আইন তো তবু কিছুটা খটমটে বিষয়। কিন্তু সাদামাটা, সহজবোধ্য যেকোনো বিষয়েও আমাকে নিন্দা করার প্রবণতা আছে সমাজের কিছু মানুষের মধ্যে। প্রশ্ন হচ্ছে, সরকারের যেকোনো কাজের সমালোচনা যদি আমাকে করা হয়, তাহলে যেকোনো ভালো কাজের প্রশংসাও আমাকে কেন করা হয় না?

সাবেক রাষ্ট্রপতি কীভাবে বিদেশে গেলেন, এই দায় যদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে না দিয়ে আমাকে দেওয়া হয়, তাহলে দ্রব্যমূল্য যে স্থির রয়েছে, এই প্রশংসাও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে না দিয়ে আমাকে দিতে হবে। কিন্তু এর কোনোটিই আসলে করা ঠিক নয়।

আমার কাজের জন্য নিন্দা/প্রশংসা আমাকে করবেন, অন্যের কাজের জন্য অন্যকে। যেকোনো কাজের সামগ্রিক দায়দায়িত্ব আমাদের গোটা সরকারের। কিন্তু যদি নির্দিষ্টভাবে একজন উপদেষ্টাকে দায়ী করা হয়, তাহলে সেটি শুধু তার মন্ত্রণালয়ের অধিভুক্ত বিষয়ে করা উচিত।

৩.যারা নিন্দা করেন, কুৎসা রটান, এর মধ্যে হয়তো কোনো আনন্দ খুঁজে পান। কিন্তু এটা অন্য কাউকে এমন কষ্ট দিতে পারে, যা আপনি নিজে কখনো বহন করতে চাইবেন না। এটি মনে রাখা ভালো।

আমি জানি ‘অপরের মুখ ম্লান করে দেওয়া ছাড়া প্রিয় সাধ নেই’—এমন মানুষ আছেন সমাজে। যারা এমন নন, তাদের কাছে অনুরোধ, কারও নিন্দা করার আগে একটু জেনে নিন। আল্লাহ আছেন, আমাদের সবাইকে একদিন জবাব দিতে হবে।

এমকেআর/এমএস


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর