বিশেষ সংবাদদাতা: সাধারণত কোনো সংবাদ সংস্থা বা গণমাধ্যমের একজন সাংবাদিক যিনি, কোনো বিশেষ বিষয়ে গভীর জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা রাখেন এবং সেই বিষয়ে বিশ্লেষণধর্মী ও তথ্যবহুল প্রতিবেদন তৈরি করেন। তাদের ক্ষমতা সরাসরি কোনো আইনি বা নির্বাহী ক্ষমতা নয়, বরং তাদের সাংবাদিকতার দক্ষতা, অনুসন্ধানী ক্ষমতা এবং বিশ্লেষণের গভীরতার উপর নির্ভরশীল। একজন বিশেষ সংবাদদাতার ক্ষমতা মূলত নিম্নলিখিত বিষয়গুলোর মধ্যে নিহিত: ১. গভীর জ্ঞান ও দক্ষতার ক্ষমতা: বিশেষায়িত জ্ঞান: তারা একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে (যেমন: রাজনীতি, অর্থনীতি, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, বিজ্ঞান, অপরাধ) দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা ও পড়াশোনার মাধ্যমে গভীর জ্ঞান অর্জন করেন। বিশ্লেষণ ক্ষমতা: তারা জটিল তথ্য ও ঘটনাকে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিশ্লেষণ করে তার অন্তর্নিহিত অর্থ ও তাৎপর্য তুলে ধরতে পারেন। যোগাযোগের দক্ষতা: তারা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সূত্র ও ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ স্থাপন ও বজায় রাখার ক্ষমতা রাখেন, যা তাদের মূল্যবান তথ্য পেতে সাহায্য করে। ২. অনুসন্ধানী ও তথ্য উদঘাটনের ক্ষমতা: তদন্ত করার ক্ষমতা: তারা কোনো ঘটনার গভীরে প্রবেশ করে তথ্য ও প্রমাণ খুঁজে বের করার দক্ষতা রাখেন। সূত্রের ব্যবহার: তারা গোপন বা সংবেদনশীল তথ্য জানার জন্য বিশ্বস্ত সূত্রের উপর নির্ভর করতে পারেন। তথ্য যাচাইয়ের ক্ষমতা: তারা প্রাপ্ত তথ্যের সত্যতা ও নির্ভরযোগ্যতা যাচাই করার জন্য প্রশিক্ষিত। ৩. জনমত গঠন ও প্রভাব বিস্তারের ক্ষমতা: বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদন: তাদের লেখা বা প্রতিবেদনের গভীরতা ও যুক্তিনিষ্ঠতা জনমত গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি: তারা কোনো বিশেষ বিষয়ে একটি স্বতন্ত্র ও বিশ্বাসযোগ্য দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করতে পারেন। আলোচনা সৃষ্টি: তাদের প্রতিবেদন সমাজের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে আলোচনা ও বিতর্কের জন্ম দিতে পারে। কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ: তাদের অনুসন্ধানী প্রতিবেদন অনেক সময় নীতি নির্ধারক ও কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এবং পদক্ষেপ গ্রহণে বাধ্য করে। ৪. গণমাধ্যমের প্ল্যাটফর্মের ক্ষমতা: ব্যাপক প্রচার: তাদের প্রতিবেদন একটি বৃহৎ সংখ্যক পাঠকের কাছে পৌঁছানোর সুযোগ পায়, যা তাদের প্রভাবকে বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। বিশ্বাসযোগ্যতা: বিশেষ সংবাদদাতা হিসেবে তাদের একটি স্বতন্ত্র পরিচিতি ও বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি হয়, যা তাদের প্রতিবেদনের গুরুত্ব বাড়ায়।তবে, (একজন বিশেষ সংবাদদাতার কিছু সীমাবদ্ধতাও থাকে) কোনো আইনি বা নির্বাহী ক্ষমতা নেই: তারা কোনো আইন প্রয়োগ করতে বা কোনো সরকারি সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে পারেন না। তথ্যের উৎসের উপর নির্ভরতা: তাদের প্রতিবেদনের গুণমান তথ্যের উৎসের নির্ভরযোগ্যতার উপর নির্ভরশীল।গণমাধ্যমের নীতির বাধ্যবাধকতা: তারা তাদের গণমাধ্যমের সম্পাদকীয় নীতি ও নির্দেশনার বাইরে যেতে পারেন না। ব্যক্তিগত ঝুঁকি: অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের ক্ষেত্রে তারা ব্যক্তিগত ঝুঁকি ও হুমকির সম্মুখীন হতে পারেন। **সংক্ষেপে, একজন বিশেষ সংবাদদাতার ক্ষমতা তার গভীর জ্ঞান, অনুসন্ধানী দক্ষতা, বিশ্লেষণের ক্ষমতা এবং গণমাধ্যমের প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে জনমত গঠন ও প্রভাব বিস্তারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। তারা সমাজের দর্পণ হিসেবে কাজ করেন এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো জনসমক্ষে তুলে ধরেন, যা পরোক্ষভাবে নীতি নির্ধারণ ও সামাজিক পরিবর্তনে ভূমিকা রাখতে পারে।**

অপরাধ তদন্তকারী রিপোর্টারের দায়িত্ব: হলো অপরাধমূলক ঘটনাগুলোর গভীরে গিয়ে সত্য উদঘাটন করা এবং জনসমক্ষে তা তুলে ধরা। এই কাজের জন্য তাদের বিভিন্ন ধরনের দায়িত্ব পালন করতে হয়: ঘটনার অনুসন্ধান: একজন অপরাধ অনুসন্ধানী প্রতিবেদক সাধারণত এমন একজন সাংবাদিক যিনি অপরাধ সম্পর্কিত বিভিন্ন ঘটনা, যেমন খুন, চুরি, দুর্নীতি, এবং অন্যান্য আইনি বিষয় নিয়ে গভীরভাবে অনুসন্ধান করেন এবং প্রতিবেদন তৈরি করেন। তারা ঘটনার পেছনের সত্য উন্মোচন করার চেষ্টা করেন এবং জনসমক্ষে তা তুলে ধরেন। অপরাধের ঘটনাস্থলে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করা। সাক্ষীদের সাক্ষাৎকার নেওয়া। বিভিন্ন ধরনের নথি ও প্রমাণপত্র পর্যালোচনা করা। তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ: পুলিশ, আইনজীবী, বিশেষজ্ঞ এবং অন্যান্য সূত্রের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা। সংগৃহীত তথ্য বিশ্লেষণ করে ঘটনার একটি পূর্ণাঙ্গ চিত্র তৈরি করা।তথ্যের মধ্যে থাকা অসঙ্গতিগুলো খুঁজে বের করা এবং সেগুলোর ব্যাখ্যা দেওয়া।প্রতিবেদন তৈরি ও প্রকাশ: অনুসন্ধানের ফলাফল প্রতিবেদন আকারে তৈরি করা। প্রতিবেদনগুলো গণমাধ্যমে প্রকাশ করা। জনগণকে অপরাধ সম্পর্কে সচেতন করা। অপরাধ তদন্তকারী সাংবাদিকরা ঘটনার তথ্য সংগ্রহ করতে বিভিন্ন উৎস ব্যবহার করতে পারেন। তারা সাক্ষী, বিশেষজ্ঞ এবং অন্যান্য সূত্রের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন। তারা বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার নথি পর্যালোচনা করতে পারেন। সাক্ষাৎকার নেওয়ার অধিকার: তারা ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের সাক্ষাৎকার নিতে পারেন। জনস্বার্থের জন্য তথ্য প্রকাশের অধিকার: জনস্বার্থের জন্য তারা সংগৃহীত তথ্য প্রকাশ করতে পারেন। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে তথ্য চাওয়ার অধিকার: তারা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে তথ্য চাইতে পারেন। গণমাধ্যমের মাধ্যমে জনমত গঠনের ক্ষমতা: তাদের প্রতিবেদনের মাধ্যমে তারা জনমত গঠন করতে পারেন। জনগণের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করার ক্ষমতা: তারা অপরাধীদের কর্মকাণ্ড জনসমক্ষে প্রকাশ করে জনগণকে সচেতন করতে পারেন। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নজরদারি: আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করা। তাদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা। জনসচেতনতা বৃদ্ধি: অপরাধীদের কর্মকাণ্ড জনসমক্ষে প্রকাশ করে সমাজকে সতর্ক করা। অপরাধ প্রতিরোধে জনসচেতনতা তৈরি করা। তবে, তাদের কিছু সীমাবদ্ধতাও রয়েছে: আইন প্রয়োগকারী সংস্থার তদন্তে হস্তক্ষেপ করার অধিকার নেই: তারা চলমান তদন্তে হস্তক্ষেপ করতে পারেন না। ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘন করার অধিকার নেই: তারা ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘন করতে পারেন না। মিথ্যা বা ভিত্তিহীন তথ্য প্রকাশের অধিকার নেই: তাদের প্রকাশিত তথ্য অবশ্যই সত্য এবং নির্ভরযোগ্য হতে হবে। আইনের বাইরে গিয়ে কাজ করার অধিকার নেই: তাদের কাজ অবশ্যই আইনি সীমার মধ্যে হতে হবে।

অপরাধ তদন্তকারী প্রতিবেদকদের কাজ ঝুঁকিপূর্ণ হলেও, সমাজের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তারা অপরাধীদের কর্মকাণ্ড জনসমক্ষে প্রকাশ করে এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করেন । (https://myaccount.google.com/personal-info#addresses)-এর উপর ভিত্তি করে নির্ধারিত.বাংলাদেশ এই আইন ব্যবহার করে ।